দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত। আর্যাবর্তবর্ণনম্ ।।

 

বিকল্প উত্তরগুলির মধ্যে সঠিক  উত্তরে () চিহ্ণ দাও।

1.आर्यावर्तवर्णनম্' রচনাটি কোন্ জাতীয় কাব্য ? – (a) গদ্যকাব্য (b) চম্পূকাব্য (c) গীতিকাব্য (d) গল্পসাহিত্য। [HS

 2. স্ফোট প্রবাদ কোন্ শাস্ত্রের অন্তর্গত ? - (a) আয়ুর্বেদ (b) বিজ্ঞান (c) বেদ (d) ব্যাকরণ। HS-48 সংসদ নমুনা প্রশ্ন

3. আর্যাবর্তবর্ণনম্-এর উৎস কী ? – (a) রামায়ণচম্পু (b) ভাগবতচম্পূ (c) নলচম্পূ (d) যশস্তিলকচম্পু। সংসদ নমুনা প্রশ্ন- -

4. সাংখ্য কী? (a) সাহিত্য (b) দর্শন (c) উপন্যাস (d) বেদ। সংসদ নমুনা প্রশ্ন-

5. বৃক্ষশাখা বিপল্লব হয় (a) ফাল্গুনে (b) বৈশাখে (c) চৈত্রে (d) শ্রাবণে। সংসদ নমুনা প্রশ্ন-III

6. আর্যাবর্তবর্ণনম্-এর রচয়িতা কে? – (a) বাণভট্ট (b) ত্রিবিক্রমভট্ট (c) যদুভট্ট (d) ভূষণভট্ট। সংসদ নমুনা প্রশ্ন-III

7. প্রভঞ্জনা ইব জনাঃ' - ‘প্রভঞ্জনা' শব্দের অর্থ কী? – (a) বিদ্যুৎ (b) মেঘ (c) ঝড় (d) বৃষ্টি। সংসদ নমুনা প্রশ্ন |

৪. আর্যাবর্তবর্ণনম্পাঠ্যাংশে মহাভারতের কোন্ বিখ্যাত চরিত্রের তুলনা আমরা পাই ? - (a) অর্জুন (b) ভীম (c) ধৃতরাষ্ট্র (d) বিদুর।

9. 'भरतालंकारभूत : পদটিতে भारत শব্দটির দ্বারা বোঝানো হয়েছে – (a) রামায়ণ ও মহাভারতকে (b) ভরত রাজা ও ভীম কে (c) ভরত রাজা ও মহাভারতকে (d) ভারতবর্ষ  মহাভারত

10. আর্যাবর্ত নামক দেশে কুয়োর পাশে কী পড়ে থাকতে দেখা যায়? (a) জল ভরা কলসি (b) কানা ভাঙা কলসি (c) ভাঙা মূর্তি (d) জল টানার দড়ি 

 

নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও :

1. আর্যাবর্ত বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝায়? সংসদ নমুনা প্রশ্ন-III

উত্তরঃ-হিমালয়ের দক্ষিণে এবং বিন্ধ্যাপর্বতের উতুত্তরের মধ্যবর্তী ভূভাগকে আর্যাবর্ত বলে।

2. চম্পূকাব্য কাকে বলে ? সংসদ নমুনা প্রশ্ন ।।।

উত্তরঃ-গদ্য ও পদ্যের মিশ্রণকে চম্পূ কাব্য বলে।

3. বিপল্লবাঃ শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ- এর দুটি অর্থ-১। পাতাশূন্য বৃক্ষগুলি, ২।ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিপদ গুলি।

4. 'ভারতালঙ্কারঃ' ভীমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই উক্তিটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ-প্রশ্নোক্তপদে ‘ভারত’ শব্দের দ্বারা ‘মহাভারত’ ও ‘ভারতবর্ষ’কে বুঝিযেছেন।

5. সাংখ্যের ভূতবিকারবাদ কী ? সংসদ নমুনা প্রশ্ন

উত্তরঃ-এই জরা জগৎ পঞ্চভূতের বিকার বা রূপান্তর। সাংখ্য দর্শনে এই বিষয় ভূতবিকারবাদ

6. আর্যাবর্তবর্ণনম্’-এ গঙ্গা ছাড়া কোন্ নদীর নাম পাওয়া যায়?

উত্তরঃ-চন্দ্রভাগা নদীর নাম।

7. আর্যাবর্তকে কার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ-স্বর্গের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

8. 'उपदेश : ' শব্দটির সংস্কৃত প্রতিশব্দ লেখো।

উত্তরঃ-

9. 'नीरशस्य मनोहरः" বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ-দুটি অর্থ- ১।আর্যাবর্তের ক্ষেত্রে-‘জল ও সস্য মনোহর’ ২। গ্রাম্যকবির পক্ষে- রসবোধহীন লোকের কাছে মনোহর।

10. 'ললাম' শব্দটির সংস্কৃত প্রতিশব্দ লেখো।

উত্তরঃ-সৌন্দর্য

11. नगा:' পদটির সংস্কৃত প্রতিশব্দ লেখো। সংসদ নমুনা প্রশ্ন-

উত্তরঃ-পর্বতাঃ

12. नाकलोक'  শব্দের অর্থ কী? সংসদ নমুনা প্রশ্ন-II

উত্তরঃ- দেবলোক বা স্বর্গলোক।

13. ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত দুটি চম্পুকাব্যের নাম লেখো।

উত্তরঃ-ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত দুটি চম্পুকাব্যের নাম-১.নলচম্পূ ২.মদালসাচম্পূ।

14. আর্যাবর্তের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন ছিল?

উত্তরঃ-গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থা, বেদাচার্যদের মহৎ উপদেশের দ্বারা

15. 'সমুপহসন্তি’- পদটির প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো।

উত্তরঃ-সম্-উপ-হস্+লট্ অন্তি।

-কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও-          

                                                                         মান-৫

১।ত্রিবিক্রমভট্ট আর্যাবর্ত গ্রাম ও স্বর্গের যে তুলনা করেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর:-কবি ত্রিবিক্রমভট্ট প্রথমেই আর্যাবর্তের গ্রামের বর্ণনা দিয়েছেন।সেই আর্যাবর্তের বর্ননা প্রসঙ্গে স্বর্গের সাথে তুলনা করেছেন।

চতুরগোপ-শোভিতাঃ গ্রামাঃ-  গঙ্গা ও চন্দ্রভাগা নদীর পবিত্র জলে পরিপুষ্ট আর্যাবর্তের গ্রামগুলি বৃক্ষ-লতা-গুল্মাদিতে পরিপূর্ণ। আর্যাবর্তের গ্রামগুলি ঘোড়ায় সাজানো যুদ্ধভূমির মতো চতুর, দক্ষ গোয়ালাদের দ্বারা সুশোভিত।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা:-গ্রামের পরিবেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। গ্রামের মানুষেরা প্রিয়াদের হাস্য-পরিহাসে যৌবন অতিবাহিত করত। বনগুলি পিয়াল, কাঁঠাল এবং ফলের বৃক্ষে পরিপূর্ণ ছিল। বনগুলি বৃক্ষের দ্বারা কল্যাণকর ছিল। আখের খেতে প্রচুর দানশালা ছিল, যেখানে আখের রস খেয়ে লোকেরা তৃপ্তি পেত।

সুস্থ পরিবেশ: আর্যাবর্তে ছিল অনেক বড়োবড়ো ভগ্ন কুম্ভকর্ণ যুক্ত কুয়ো। কুয়োগুলি ছিল গভীর এবং সুস্বাদু জলে পূর্ণ। সেই জল পান করে গ্রামের মানুষ পরিতৃপ্ত হয়। এখানে কুল-ললনারা সতীব্রত পালনে নিষ্কলঙ্কা সাধ্বী জীবনযাপনে অভ্যস্ত

শহরাঞ্চলের প্রসঙ্গে বলেছেন-

তুঙ্গসকলভবনাঃ : আর্যাবর্তের শহর বা নগরগুলির বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে নগরবাসীরা ছিল মহাধনী তাদের উঁচু উঁচু অট্টালিকাগুলি সারিবদ্ধভাবে বিরাজমান ছিল। প্রতিটি অট্টালিকার সামনে বৃক্ষশোভিত বাটিকা বা উদ্যান ছিল।

নগরগুলি নূপুরের মতো: নূপুর যেমন পায়ের বা চলার অলংকার, তেমনই সজ্জনদের চরণ অর্থাৎ চলাফেরা আর্যাবর্তের নগরগুলির অলংকার। নগরবাসীরা তাদের সৎ আচরণে নগরের মর্যাদা ও গৌরব বৃদ্ধি করে।

দান ও ভোগকারী: আর্যাবর্তের নগরবাসী বাতাসের মতো দান ও ভোগকারী। সাধ্যমতো তারা প্রার্থীকে অভীষ্ট প্রদান করে আর সুখ ও শাস্তি ভোগ করে।

 

২.’’সমস্ত ব্যাধিব্যতিকরাঃ পুরুষায়ুষজীবিন্যঃ’-প্রজাদের দীর্ঘ জীবনের কারণ কি?

উত্তর:-কবি ত্রিবিক্রমভট্ট তাঁর আর্যাবর্তবর্ণনম্' নামক কাব্যাংশে আর্যাবর্ত দেশের এক সুললিত বর্ণনা দিয়েছেন। এখানে এই ভূখণ্ডের অনেক বৈশিষ্ট্য তিনি তুলে ধরেছেন।কারণসমূহ সমস্ত প্রজা সুখে বাস করত। কারণ(১) সেদেশে কোনো প্রকার রোগ বিশেষত কুষ্ঠ রোগ ছিল না। কোনো ওষুধের দোকান ছিল না। ছিল কেবল সুগন্ধি বিক্রির দোকান। (২) সামান্য ব্যক্তিদের মধ্যে ফোড়া ফুসকুড়ি (রোগবিশেষ) ছিল না। (৩) প্রজাদের মধ্যে সন্নিপাত (রোগবিশেষ) ছিল না। (৪) আর্যাবর্তে বসবাসকারীদের মধ্যে কোনো সংক্রমণ বা গ্রহকলহ' ছিল না। কেউ গ্রহকলহে আক্রান্ত ছিল না। গ্রহকৃত দুর্দৈব ঘটনা বা রাহুকৃত পীড়ন বা রাহুগ্রাস ছিল না। (৫) প্রাণীদের মধ্যে ভূত-প্রেতাদির উপদ্রব বা বিকার ছিল না। (৬) ক্ষয় প্রতিপদাদি তিথিগুলিতেই থাকত, প্রজাদের মধ্যে ক্ষয়রোগ ছিল না। (৭) গুল্মলতা বৃদ্ধি বনভূমিতেই ছিল। প্রাণীদের মধ্যে গুল্মরোগ ছিল না। গুল্মরোগ হল প্লিহারোগ। এই রোগের প্রতিষেধক হল আমলকী। (৮) গল-গ্রহণ (গলায় ফাঁস লাগানো) মাছেদের মধ্যে ছিল। অন্য প্রজাদের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগানোর ব্যাপার ছিল না। (৯) গণ্ডক (গন্ডার)-এর উত্থান পর্বত ও বনে দেখা যায়। প্রজাদের মধ্যে ফোড়া গণ্ডস্থলে বের হত না। (১০) শূল নামক অস্ত্র চণ্ডীদেবীর মন্দিরে দেখা যায়, কিন্তু কোনো প্রজার মধ্যে অম্লশূল নামক রোগ দেখা যেত না।

৩।আর্যাবর্তের নামকরণের সার্থকতা প্রতিপাদন করো।

উত্তর : ত্রিবিক্রমভট্ট তাঁর চম্পূকাব্যের নামকরণ নায়ক রাজা নলের নামানুসারে করেছেন। সপ্তম উচ্ছ্বাস বিশিষ্ট চম্পূকাব্যের নাম রাখা হয়েছে নলচম্পু'কিন্তু পাঠ্যাংশের নামকরণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সদস্যবৃন্দ। নলচম্পু’-র প্রথম উচ্ছ্বাসের কিছু অংশ এখানে পাঠ্যরূপে বিবেচিত হয়েছে, যার নামকরণ করা হয়েছে আর্যাবর্তবর্ণনম্

আর্যাবর্ত' শব্দটির ব্যুৎপত্তি করলে দাঁড়ায় আর্য-আ-বৃৎ + ঘঞ (অধিকরণ বাচ্যে)। অর্থ হল যেখানে আর্যগণ আবর্তিত অর্থাৎ বারবার জন্মগ্রহণ করেছেন বা ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছেন, সেই স্থানের নাম আর্যাবর্ত।

আর্যাবর্তবর্ণনম্' শব্দটির অর্থ হল আর্যাবর্তের বর্ণনা আছে যেখানে। প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রে আর্যাবর্ত বলতে ভারতবর্ষকে বোঝানো হয়েছে। আর্যাবর্তের নানা বৈশিষ্ট্য, যেমন তার স্থানমাহাত্ম্য, মানুষের আচার-ব্যবহার, জলবায়ু, প্রাকৃতিক সম্পদ প্রভৃতির বর্ণনা আলোচ্য পাঠ্যাংশে থাকায় সংসদের সদস্যবৃন্দ এর নামকরণ করেছেন আর্যাবর্তবর্ণনম্পাঠ্যাংশের প্রথম অনুচ্ছেদের শেষ চরণে লেখক আর্যাবর্ত' নাম ব্যবহার করে বলেছেন আচার্যভবনমার্যমর্যাদোপদেশানামার্যাবর্তো নাম দেশঃ।সমস্ত অনুচ্ছেদ জুড়ে রয়েছে 'আর্যাবর্ত' নামক মহান দেশের বিস্তৃত পরিচয়। এই আর্যাবর্ত যে ভারতবর্ষ তার পরিপ্রেক্ষিতে লেখক বলেছেন। - দেশঃ পুণ্যতমোদেশঃ কস্যাসৌ ন প্রিয়ো ভবেৎ।অতএব বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে পাঠ্যাংশের নামকরণ আর্যাবর্তবর্ণনম্” যথাযথ হয়েছে।

৪।আর্যাবর্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আলোচনা করো।

উত্তর : কবি ত্রিবিক্রমভট্ট 'নলচম্পু'-র প্রথম উচ্ছ্বাসে বর্ণিত আর্যাবর্তবর্ণনম্পাঠ্যাংশে ভগ্নশ্লেষ অলংকারের মাধ্যমে আর্যাবর্তের এক অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছেন যা স্বর্গের সৌন্দর্যকে ছাড়িয়ে গেছে।

গঙ্গাবিধৌত পবিত্র আর্যাবর্ত: সূর্যবংশীয় রাজা ভগীরথের কীর্তি পতাকারূপিণী গঙ্গা আর্যাবর্তের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে এই দেশ সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা।

গঙ্গাতটের শোভা অসংখ্য চঞ্চল চকোর, চক্রবাক, আর সারসশ্রেণি গঙ্গাতটের শোভা বর্ধন করে। এখানে গঙ্গার তরঙ্গগুলি যেন ভগীরথের স্বর্গারোহণের সিঁড়ির ন্যায়। প্রস্ফুটিত স্বর্ণকমল এবং রক্তপদ্মের পরাগে রঞ্জিত হংসমালার অলংকারে এই গঙ্গাতীর সদা অলংকৃত।

গ্রাম্য পরিবেশ গ্রামে গ্রামে চতুর গোয়ালাদের বাস। পর্বতের বনাঞ্চলে হস্তিশাবকেরা ঘুরে বেড়ায়। এখানে বড়ো বড়ো কুয়োগুলি সুস্বাদু জলে পরিপূর্ণ। পিয়াল ও কাঁঠাল গাছে ভরা বন। আখখেতের মধ্যে আছে অনেক দানশালা।

চন্দ্রভাগালঙ্কৃত শিবের জটাজালের এক অংশ যেমন চন্দ্রকলার দ্বারা অলংকৃত হয়েছে তেমনই এই আর্যাবর্ত দেশও চন্দ্রভাগা নদীর দ্বারা অলংকৃত হিমালয়ের কিশওয়ার থেকে নির্গত হয়ে চন্দ্রভাগা (উত্তর-ভারতের এক নদী) জন্তুর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে।

৫। समुपहसन्ति स्वर्गवासिनं जनं जनाः”- কারা কাদের কেন উপহাস করত? 

উত্তর : কবি ত্রিবিক্রমভট্ট আর্যাবর্তের মাহাত্ম্য কীর্তন করতে গিয়ে উল্লিখিত উদ্ধৃতিটির অবতারণা করেছেন।

উদ্ধৃতিটির ব্যাখ্যা আর্যাবর্ত দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় জনগণ সন্তুষ্ট ছিল। সকলে সমস্তপ্রকার সমৃদ্ধির দ্বারা বর্ধিত। ফলে দেশে কোনোরূপ দৈন্য-দারিদ্র্য ছিল না। অর্থের সচ্ছলতা থাকায় তাদের জীবনযাত্রা ছিল মহোৎসবের মতো আড়ম্বরপূর্ণ। এই দেশের মানুষেরা ছিল কুলীন তথা অভিজাত সম্প্রদায়। পক্ষান্তরে স্বর্গবাসীগণ ছিলেন অকুলীন (যাঁরা পৃথিবীতে লয়প্রাপ্ত হন না)। স্বর্গবাসীদের বিমান ছিল। যদিও এক অর্থে বলা যায়। - তাঁদের বিমান নামক দেবযান ছিল, অন্য অর্থে বলা যায় তাঁদের কোনো মানসম্মান ছিল না। অথচ আর্যাবর্তের মানুষের মানসম্মান কখনোই বিঘ্নিত হত না। স্বর্গে ধ্রুব প্রভৃতি মাত্র আটজন বসু বাস করেন। আর আর্যাবর্তে বহু ধনসমৃদ্ধ ব্যক্তি বাস করে।

উপসংহার এই সমস্ত যুক্তির মাধ্যমে কবি বলতে চেয়েছেন যে, ধনধান্যভরা এই দেশের মানুষ স্বর্গবাসী অপেক্ষা সুখে- স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করে। ফলে অকুলীন স্বর্গবাসী দেবতাদের আর্যাবর্তের মানুষ উপহাস করে থাকে।

No comments:

Post a Comment