স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ১৫ আগস্ট ২০২২ | ভারতের স্বাধীনতা দিবস 2022 বক্তৃতা | Independence Day Speech in Bengali 2022

নমস্কার ,
আমার বয়জেষ্ঠ্য সকলকে আমার প্রণাম এবং বন্ধু-বান্ধব ও ছোট ভাইবোনদের আমার আন্তরিক স্নেহাশীষ জানাচ্ছি।
বন্দে মাতরম্ । ভারত মাতা কি? জয়।
আজ ১৫ ই আগস্ট ২০২২ এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস আজ উদযাপিত হচ্ছে সারা ভারত বর্ষ জুড়ে, ভারত সরকার আগে থেকেই এটাকে আজাদী কি অমৃত মহোৎসব হিসেবেই বিশেষভাবে প্রচার করেছেন।
             তবেই এই স্বাধীনতা লাভ করা ঠিক এতটা সোজা ছিল না, ভারতের লক্ষ লক্ষ বীর সৈনিক তাদের নিজের জীবন ,সময়, রক্ত অক্লান্ত পরিশ্রমের এবং ত্যাগের বিনিময়ে লাভ করেছি এই স্বাধীনতা। 
তাই সবার প্রথমে তাদেরকে আজ শত কোটি প্রণাম জানাই যারা দেশের জন্য নিজের জীবন এবং নিজের সর্বস্ব সুখ উৎসর্গ করেছেন।

 আর এই মহান দেশ প্রেমিক বীর যোদ্ধাদের কথা বলতে গেলেই সবার প্রথমে যাদের নাম চলে আসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ,ভাগত সিং ,ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ, মাতঙ্গিনী হাজরা ,সর্দা র বল্লভ ভাই প্যাটেল ,জহরলাল নেহেরু ,অনেকেই এছাড়াও বাবাসাহেব আম্বেদকর ক্ষুদিরাম বসু সকলের সঙ্ঘবদ্ধ লড়াইয়ের ফলশ্রুতি হিসেবে কিন্তু আজ আমরা ভারতের স্বাধীনতা লাভ করতে পেরেছি।

আজকের দিনে শুধুমাত্র পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটিকে উদযাপন করায় নয় যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদেরকেও স্মরণ করতে হবে তাদেরকে জানতে হবে এবং নিজেদের কর্তব্য কর্মের প্রতি নিজেদের সচেতন হতে হবে এবং স্বদেশ প্রীতি জাগিয়ে তুলতে হবে। এ বিষয়ে বলার আগে আমরা এবার ভারতের স্বাধীনতার সেই ৭৫ বছর আগে দিনটিতে ফিরে যাই।

সাল ১৯৪৭, আগস্ট মাসের মাঝ রাত ,১৫ই তারিখ

১৯৪৭ সালে ১৫ ই আগস্ট দিল্লির লালকেল্লায় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ।

 তখন থেকেই 15ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে মানা হয়। ও তেরঙ্গা পতাকা স্কুল কলেজ যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা সরকারি দপ্তর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনেক ক্ষেত্রে বাড়িতে এবং হাতে হাতে জাতীয় পতাকা দেখা যায়।



আমাদের এই পতাকার আসল অর্থ ও ব্যবহার জানতে হবে।

গেরুয়া : গেরুয়া রঙ ত্যাগ ও বৈরাগ্যের প্রতীক।

এরই মধ্যেই আমরা খুঁজে পাই স্বাধীনতা সংগ্রামী মানুষদের ত্যাগ ও বৈরাগ্যেকে।


সাদা : আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বভাবের পথপ্রদর্শক সত্যপথ ও আলোর প্রতীক।

সাদা শান্তির ও সৎপথের জীবনকে নিয়ে যাওয়ার প্রতীক।


সবুজ : সবুজ মৃত্তিকা তথা সকল প্রাণের প্রতীক। সবুজ মানেই মৃত্তিকা ফসল যা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সবুজ প্রাণকে আমাদের বুঝতে হবে।


অশোক চক্র : অনুশাসনের প্রতীক ও গতিশীলতার প্রতীক। অশোকচক্র গতিশীলতার প্রতীক এগিয়ে যাওয়া, কখনো থেমে না থেকে এগিয়ে যাওয়া।


এই হল আমাদের দেশ ভারত মাতার দেশ। হিন্দু মুসলিম, শিখ সমস্ত ধর্মকে সমান সন্মান ও ভালোবাসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

1946 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময় কালে ব্রিটিশ শাসনের অর্থবেবস্তা ভেঙে পরে অন্য দিকে আমাদের বীরনেতা স্বাধীনতা জন্য লড়াই করে যাচ্ছে সঙ্গে গোটা ভারতবর্ষের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ। ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে, এবারে ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বা অর্থবল ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী হারিয়ে ফেলেছে। তাঁরা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৭ সালের শুরুর দিকে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে, ১৯৪৮ সালের জুন মাসে ভারতীয়দের দেশে শাসনের ভার দিবে কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ধর্ম দাঙ্গা ব্রিটিশ সরকার তা সামলাতে পারেনি।


মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন পাকিস্তান ও ভারত দুইটি স্বাধীনতা দেশে ভিভোক্ত হয়। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন জোহর লাল নেহরু


১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিল্লির লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী জোহর লাল নেহরু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ভারতীয় সংবিধান সৃষ্টি হয়, যার ভিক্তিতেই আজও ভারত দাঁড়িয়ে।








No comments:

Post a Comment