#বনগতাগুহা

গোবিন্দকৃয় মোদক রচিত ‘বানগতা গুহা’ এক অনবদ্য গল্প। এখানে অলিপর্বা নামে এক গরিব কাঠুরিয়ার দৈবক্রমে ধনভাণ্ডার লাভের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে তার চরিত্রের কিছু দিক উন্মোচিত হয়েছে। আমরা সেগুলি বিশ্লেষণাত্মকরূপে উপস্থাপিত করতে পারি।
দারিদ্র্য:
অলিপর্বারা দুই ভাই। তার আর এক ভাই কশ্যপ। কশ্যপ বড়োলোকের মেয়ে বিয়ে করে বড়োলোক হয়ে উঠল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অলিপর্বা গরিবই রয়ে গেল। সে বনে কাঠ কাটে। আর, শহরে এনে বিক্রি করে তার থেকে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে অতি কষ্টে স্ত্রী আর ছেলেমেয়েদের প্রতিপালন করে।

» দৈবসহায়তা:
 অলিপর্বা দুর্ভাগ্যবশত গরিব। কিন্তু এক সময় এই দৈবই তার সহায় হয়েছে এবং তাকে এনে দিয়েছে সচ্ছল অবস্থার সুযোগ। একদিন বনের মধ্যে কাঠ কাটতে কাটতে সে একদল চোরের গোপন কার্যকলাপ দেখতে পায়। চোরেরা এক রহস্যময় গুপ্ত গুহার মধ্যে তাদের চুরি করা ধনসম্পদ রেখে যেত। মন্ত্র পড়ে সেই গুহার দরজা খুলত এবং বন্ধ করত। গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকে অলিপর্বা সব দেখেছিল। তারপর চোরেরা চলে গেল, সে সেই মন্ত্র দিয়ে গুহার দরজা খুলে সোনা-ভরতি কিছু বস্তা নিয়ে যায়। এইভাবে দৈব তার অবস্থা পরিবর্তনে সহায়তা করে।

No comments:

Post a Comment